কন্টিকারি
যে নামে পরিচিতঃ
বাংলায় কন্টিকারী কাটাবেগুন, হিন্দিতে বলে কটেরী , মারাঠীতে ৱিঙ্গনী , ওড়িয়ায় কন্টমারিষ , তেলেগুতে বেরটিমুলঙ্গ , সংস্কৃতে ব্যাঘী ,
গাছের পরিচয়ঃ
কন্টকারী ডালপালা , কাণ্ড এবং পাতা সহ কন্টকময় গুলাজাতীয় উদ্ভিদ লতানো গাছের মতাে মাটিতে ছড়িয়ে থাকে ডাটা ৪ ফুট পর্যন্ত লম্বা এবং পর্যন্ত চওড়া ৩ ইঞ্চি হয় কিছুটা ডিম্বাকৃতি দেখায় ।পাতার স্থানে স্থানে অস্পষ্ট লােমযুক্ত থাকে পুরাে গাছে খাড়াভাবে ধারালাে কাটা থাকে এবং আধা ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয় । পুষ্পদও শাখা প্রশাখাবিশিষ্ট । ফুলের রং সাদা ও নীল ফল পীতবর্ণ বা সাদা আভাযুক্ত সবুজ বর্ণের হয় । ফলের আকার খুবই ছােট , অনেকটা বেগুনের মতাে দেখায় । ফলের গায়ে সাদা লম্বা লম্বা দাগ থাকে । ফল পাকলে লাল ও হলুদ বর্ণের হয় । গরম পড়ার প্রথম দিকে গাছে ফুল ফোটে এবং পরে ফল ধরে । ফলের মধ্যে অসংখ্য বীজ থাকে । বর্ষার পানি পেলে গাছ মরে যায় । আরও এক ধরণের কন্টকারী গাছ আছে , যার ফুল দেখতে নীল এ কন্টকারী খুব কম দেখা যায়
জন্মস্থানঃ বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের প্রায় অধিকাংশ জেলার মাঠ -ঘাট এবং ক্ষেতের আলে এ গাছটি নিজে থেকেই জন্মায় ।
ঔষুধ হিসাবে ব্যবহার হয় গাছের মূল , উদ্ভিদ , ফুল ও ফল এগুলাে সবই ঔষধ হিসাবে ব্যবহার যে
সকল রােগের উপশম হয়ঃ
1️⃣ চোখ থেকে পানি পড়লে , কন্টকারীর ফুল ও ফুলের গােটা কুড়ি নিয়ে , আধা কাপ পানিতে এক গ্রাম পরিমাণ খাবার লবন মিশিয়ে , সে পানিতে কুঁড়ি ও ফুল ভালভাবে রগড়ে নিতে হবে । এরপর সেই পানি পরিষ্কার পাতলা কাপড়ে ছেকে চোখে দিলে আরাম বােদ হবে ।
2️⃣ টনসিল বৃদ্ধি ও কাশি হলে ঠাণ্ডা লাগলে বা শীতের সময় সামান্য অনিয়ম হলেই টনসিল বেড়ে যায় ফলে কাশিতে খুবই কষ্ট হয় ৩০ গ্রাম পরিমাণ কন্টকারী পাতা ও ডাল নিয়ে আধা লিটার পানিতে সেদ্ধ করতে হবে সেদ্ধ হবার পর ১০০ মিলিলিটার থাকতে আগুন থেকে নামিয়ে নেয়া দরকার ।প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যায় খাবার সময় আধা চামচ পিপুলের গুঁড়াে মিশিয়ে খেতে হবে ।
3️⃣ গলায় শ্লেষ্ম - ঘা হলে ৩ / ৪ টি কাঁচা কন্টকারী ফলের রস গলার ঘায়ে লাগালে উপকার পাবেন
4️⃣ বাগী রােগে কন্টকারী ফলের বীজ বেটে প্রলেপ দিলে বাগী তাড়াতাড়ি ফাটে ও রক্ত -পুঁজ বেরিয়ে যায় ।
5️⃣ কাশি ও জ্বর হলে কন্টকারীর মুলের রস বেটে দু ' চামচ পরিমাণ দিনে দু ' বার করে খেলে , বুকে জমা শ্লেষ্মা কাশির সঙ্গে উঠে আসবে কাশি কমে যাবে এবং বুকের বেদনা আরাম পাবে অর্থাৎ কাশতে গেলে বুকে যে বেদনা হয় , তাও ভাল হয়ে যায় ।
6️⃣ বাত ও আঘাতের যন্ত্রণা ও শরীরের কোন স্থানে আঘাত লেগে ফুলে গেলে যদি যন্ত্রনা হয় , তবে কন্টকারীর পাতাকে কয়েকটি গােলমরিচের সঙ্গে পিষে ফোলা জায়গায় প্রলেপ দিলে যন্ত্রণা কমে যায় এছাড়াও একইভাবে বাতের যন্ত্রণাতেও উপকার পাওয়া যায় ।
7️⃣ পেটে বায়ু বৃদ্ধি হলে কন্টকারীর কচি ডাল বেটে তার দু ' চামচ রস খেলে , বায়ু নিম্মমুখী হয়ে মলদ্বার দিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসে
8️⃣ বসন্ত রােগ দেখা দিলে , ৫ গ্রাম পরিমাণ |কন্টকারী গাছের শেকড় ৩ / ৪ টি গােলমরিচের সাথে সামান্য পানি দিয়ে বেটে তার রস সকালে তিন দিন খেলে শরীরে বসন্তরােগের প্রতিরােধ শক্তি গড়ে ওঠে ।
9️⃣ বাহ্যিক ত্বকের ক্ষতে কন্টিকারীর গাছ দিয়ে বানানো তেল নিয়মিত লাগালে ক্ষত সেরে যাবে
🔟 অনেক সময় অতিরিক্ত পানি ব্যবহারের কারণে দুই আঙুলের ফাঁকে ক্ষত সৃষ্টি হয়। কন্টিকারীর তেল নিয়মিত লাগালে ভালো হয়ে যাবে।
1️⃣1️⃣ গেটেবাত থাকলে কন্টিকারী পাতা ও সমপরিমাণ শজিনা গাছের ডাল বেটে আক্রান্ত স্থানে প্রলেপ দিলে গিঁটেবাতের যন্ত্রণা কমবে।
1️⃣2️⃣ দেশে বসন্ত বা হাম দেখা দিলেই দুই আনা পরিমিত ও কন্টিকারী মূল নিয়ে আড়াইটি গােলমরিচসহ উত্তমরূপে পেষণ করে সেবন করলে বসন্তের কবুল হতে উদ্ধার পাওয়া যায় ।
1️⃣3️⃣ গরমীর ঘা যদি পচিতে আরম্ভ হয় তা হইলে আধ ইঞ্চি পরিমিত কন্টিকারীর শিকড় এক সপ্তাহ পানসহ চিরিয়ে খেলে পচা গরমীর ঘা নিরাময় হয় ।
1️⃣4️⃣ জ্বরে কন্টিকারীর পাচনে বিশেষ উপকার দর্শে দুই আনা ওজনে কন্টিকারী নিয়ে আধাসের পানিতে সিদ্ধ করবে , সেই পানি আধাপােয়া হলে নামিয়ে ঠান্ডা হলে প্রত্যহ একবার করে সাতদিন সেবন করবে ।
1️⃣5️⃣ ফোঁড়া পাকতে বিলম্ব হলে সাদা কন্টিকারীর বীজ শিলে বেটে প্রলেপ দিলে ফোঁড়া পেকে যায়।
বাংলায় কন্টিকারী কাটাবেগুন, হিন্দিতে বলে কটেরী , মারাঠীতে ৱিঙ্গনী , ওড়িয়ায় কন্টমারিষ , তেলেগুতে বেরটিমুলঙ্গ , সংস্কৃতে ব্যাঘী ,
গাছের পরিচয়ঃ
কন্টকারী ডালপালা , কাণ্ড এবং পাতা সহ কন্টকময় গুলাজাতীয় উদ্ভিদ লতানো গাছের মতাে মাটিতে ছড়িয়ে থাকে ডাটা ৪ ফুট পর্যন্ত লম্বা এবং পর্যন্ত চওড়া ৩ ইঞ্চি হয় কিছুটা ডিম্বাকৃতি দেখায় ।পাতার স্থানে স্থানে অস্পষ্ট লােমযুক্ত থাকে পুরাে গাছে খাড়াভাবে ধারালাে কাটা থাকে এবং আধা ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয় । পুষ্পদও শাখা প্রশাখাবিশিষ্ট । ফুলের রং সাদা ও নীল ফল পীতবর্ণ বা সাদা আভাযুক্ত সবুজ বর্ণের হয় । ফলের আকার খুবই ছােট , অনেকটা বেগুনের মতাে দেখায় । ফলের গায়ে সাদা লম্বা লম্বা দাগ থাকে । ফল পাকলে লাল ও হলুদ বর্ণের হয় । গরম পড়ার প্রথম দিকে গাছে ফুল ফোটে এবং পরে ফল ধরে । ফলের মধ্যে অসংখ্য বীজ থাকে । বর্ষার পানি পেলে গাছ মরে যায় । আরও এক ধরণের কন্টকারী গাছ আছে , যার ফুল দেখতে নীল এ কন্টকারী খুব কম দেখা যায়
জন্মস্থানঃ বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের প্রায় অধিকাংশ জেলার মাঠ -ঘাট এবং ক্ষেতের আলে এ গাছটি নিজে থেকেই জন্মায় ।
ঔষুধ হিসাবে ব্যবহার হয় গাছের মূল , উদ্ভিদ , ফুল ও ফল এগুলাে সবই ঔষধ হিসাবে ব্যবহার যে
সকল রােগের উপশম হয়ঃ
1️⃣ চোখ থেকে পানি পড়লে , কন্টকারীর ফুল ও ফুলের গােটা কুড়ি নিয়ে , আধা কাপ পানিতে এক গ্রাম পরিমাণ খাবার লবন মিশিয়ে , সে পানিতে কুঁড়ি ও ফুল ভালভাবে রগড়ে নিতে হবে । এরপর সেই পানি পরিষ্কার পাতলা কাপড়ে ছেকে চোখে দিলে আরাম বােদ হবে ।
2️⃣ টনসিল বৃদ্ধি ও কাশি হলে ঠাণ্ডা লাগলে বা শীতের সময় সামান্য অনিয়ম হলেই টনসিল বেড়ে যায় ফলে কাশিতে খুবই কষ্ট হয় ৩০ গ্রাম পরিমাণ কন্টকারী পাতা ও ডাল নিয়ে আধা লিটার পানিতে সেদ্ধ করতে হবে সেদ্ধ হবার পর ১০০ মিলিলিটার থাকতে আগুন থেকে নামিয়ে নেয়া দরকার ।প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যায় খাবার সময় আধা চামচ পিপুলের গুঁড়াে মিশিয়ে খেতে হবে ।
3️⃣ গলায় শ্লেষ্ম - ঘা হলে ৩ / ৪ টি কাঁচা কন্টকারী ফলের রস গলার ঘায়ে লাগালে উপকার পাবেন
4️⃣ বাগী রােগে কন্টকারী ফলের বীজ বেটে প্রলেপ দিলে বাগী তাড়াতাড়ি ফাটে ও রক্ত -পুঁজ বেরিয়ে যায় ।
5️⃣ কাশি ও জ্বর হলে কন্টকারীর মুলের রস বেটে দু ' চামচ পরিমাণ দিনে দু ' বার করে খেলে , বুকে জমা শ্লেষ্মা কাশির সঙ্গে উঠে আসবে কাশি কমে যাবে এবং বুকের বেদনা আরাম পাবে অর্থাৎ কাশতে গেলে বুকে যে বেদনা হয় , তাও ভাল হয়ে যায় ।
6️⃣ বাত ও আঘাতের যন্ত্রণা ও শরীরের কোন স্থানে আঘাত লেগে ফুলে গেলে যদি যন্ত্রনা হয় , তবে কন্টকারীর পাতাকে কয়েকটি গােলমরিচের সঙ্গে পিষে ফোলা জায়গায় প্রলেপ দিলে যন্ত্রণা কমে যায় এছাড়াও একইভাবে বাতের যন্ত্রণাতেও উপকার পাওয়া যায় ।
7️⃣ পেটে বায়ু বৃদ্ধি হলে কন্টকারীর কচি ডাল বেটে তার দু ' চামচ রস খেলে , বায়ু নিম্মমুখী হয়ে মলদ্বার দিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসে
8️⃣ বসন্ত রােগ দেখা দিলে , ৫ গ্রাম পরিমাণ |কন্টকারী গাছের শেকড় ৩ / ৪ টি গােলমরিচের সাথে সামান্য পানি দিয়ে বেটে তার রস সকালে তিন দিন খেলে শরীরে বসন্তরােগের প্রতিরােধ শক্তি গড়ে ওঠে ।
9️⃣ বাহ্যিক ত্বকের ক্ষতে কন্টিকারীর গাছ দিয়ে বানানো তেল নিয়মিত লাগালে ক্ষত সেরে যাবে
🔟 অনেক সময় অতিরিক্ত পানি ব্যবহারের কারণে দুই আঙুলের ফাঁকে ক্ষত সৃষ্টি হয়। কন্টিকারীর তেল নিয়মিত লাগালে ভালো হয়ে যাবে।
1️⃣1️⃣ গেটেবাত থাকলে কন্টিকারী পাতা ও সমপরিমাণ শজিনা গাছের ডাল বেটে আক্রান্ত স্থানে প্রলেপ দিলে গিঁটেবাতের যন্ত্রণা কমবে।
1️⃣2️⃣ দেশে বসন্ত বা হাম দেখা দিলেই দুই আনা পরিমিত ও কন্টিকারী মূল নিয়ে আড়াইটি গােলমরিচসহ উত্তমরূপে পেষণ করে সেবন করলে বসন্তের কবুল হতে উদ্ধার পাওয়া যায় ।
1️⃣3️⃣ গরমীর ঘা যদি পচিতে আরম্ভ হয় তা হইলে আধ ইঞ্চি পরিমিত কন্টিকারীর শিকড় এক সপ্তাহ পানসহ চিরিয়ে খেলে পচা গরমীর ঘা নিরাময় হয় ।
1️⃣4️⃣ জ্বরে কন্টিকারীর পাচনে বিশেষ উপকার দর্শে দুই আনা ওজনে কন্টিকারী নিয়ে আধাসের পানিতে সিদ্ধ করবে , সেই পানি আধাপােয়া হলে নামিয়ে ঠান্ডা হলে প্রত্যহ একবার করে সাতদিন সেবন করবে ।
1️⃣5️⃣ ফোঁড়া পাকতে বিলম্ব হলে সাদা কন্টিকারীর বীজ শিলে বেটে প্রলেপ দিলে ফোঁড়া পেকে যায়।