অতিবিষা বা আতইচ

বিভিন্ন নামঃ বাংলা অতিবিষা আতইচ,সংস্কৃত আতিষ, হিন্দী অতিস,তামিল অতিবাদায়াম,তেলুগু অতিবাসা, পারস্য বীজ্জাতুরকী । অতলসণীকলী, ব্যবহার্য অংশঃ মূল ও কন্দ মাত্রাঃ ২ থেকে ৪ আনা নব্যগণের মতে আধ আনা হইতে দেড় আনা মাত্রায় ক্রিমিয় এবং ২ আনা হইতে ১৩ আনা , কাহার মতে ১১ আনা মাত্রায় প্রতিষেধক । গাছের বর্ণনাঃ অতিবিষার ক্ষুপ হিমালয়ের উচ্চ প্রদেশে জন্মে । ইহার পাতা নাকদোনার পাতার মত ডালগুলি চেপ্টা , পত্রবৃন্তের নিকট হইতে ফুল বাহির হয় ফোটা ফুল দেখিতে টুপীর মত ইহার কন্দ হইতে শিকড় বাহির হয় এই মূলই অতিবিষ নামে বিখ্যাত । বৈদ্যশাত্র মতে কৃষ্ণ শ্বেত ও রক্তবর্ণ এই তিন প্রকার অতিবিষা আছে বাজারে যে অতিবিষা বিক্রয় হয় উহা দেখিতে ধূসর বর্ণ ও উহার ভিতরটি শ্বেতবর্ণ উহার স্বাদ তিক্ত কাণ্ড সরল ও পত্র পরিপূর্ণ গাছ উচ্চে ১ হইতে ৩ ফুট হয় পত্র ২ থেকে ৪ ইঞ্চি লম্বা দেখিতে ডিম্বাকৃতি ও হৃৎপিণ্ডাকার পত্রের কিনারায় দাত আছে ফুলের বোটা ১ ইঞ্চি লম্বা উজ্জ্বল নীলবর্ণ ফুলের শিরাগুলি বেগুনে রঙের । গাছের ঔষধি ব্যবহার - অতিবিষা শ্বেপারোগ নাশিনী ও রসায়ন ( মদনপাল ) অভিসার , জরাঅতিসার ও গ্রহণী রোগে অপরাপর ঔষধের সহিত অতিবিষার ব্যবহার আছে ইহা জরনাশক পাচক ও বলকারক ম্যালেরিয়া জ্বরের প্রতিষেধক রূপে অতিবিষার ব্যবহার হয় । জর প্রতিষেধের জন্য ১২ আনা মাত্রায় ব্যবহার করা যায় অতিবিষা বিড়ঙ্গের সহিত ব্যবহার করিলে পেটের কৃমি নষ্ট হয় । শিশুদের কাশ জরে ও বমনে ইহা মধুর সহিত উপযুক্ত মাত্রায় সেবন করা যায় । জধরের মতে ইহা উদরাময় , অম্ল ও সর্দি -নাশক । ইহা বালগুলি নামক বটিকার একটি উৎকৃষ্ট মসলা এই বালগুলিতে ৩১টি মসলা আছে তন্মধ্যে সিদ্ধি অহিফেন ও ধুতরা এই কয়টি বিষাক্ত অপরগুলি তিক্ত এই গুলিতে ছােট ছােট ছেলে বেশ শান্ত থাকে ও নিস্তব্ধ হইয়া নিদ্রা য়ায় আকোড় মূলের ত্বক ৩ ভাগ , অতিবিষা ১ ভাগ তণ্ডুলােদকে পেষণ করিয়া পান করিলে গ্রহণী আরাম হয় ( বনৌষধি ) । ম্যালেরিয়া জ্বরের প্রতিষেধক স্বরূপ অতিবিষা ব্যবহৃত হইয়া থাকে অতিবিষা বিড়ঙ্গের সহিত সেবন করিলে অম্বস্থ কৃমির নাশ হয় । জরাদি রােগ ভােগ করিবার পর দৌর্বল্য দূরীকরণার্থ অতিবিষা ব্যবহৃত হয় অতিবিষা শুট কুরচির ছাল মুথা ও গােলঞ্চ প্রত্যেকটি সমপরিমাণ সৰ্ব্বসমেত ২ তােলা , জল ৩২ তােলা ইহাদের কাথ সিকি অংশ থাকিতে অগ্নি হইতে নামাইয়া দিবসে ২ থেকে ৩ বার সেবন করিলে উদরাময় সংযুক্ত জর আবাম হয় অতিবিষা কন্দের গুড়া মধুর সহিত সেবন কবিলে সর্দি কাশি জ্বর ও বালকদের বমন আরাম হয় । ইহার কন্দ ১ আউল ও নাটাকরঞ্জার বীজ ২ ড্রাম গুডা করিয়া খাইলে পিত্ত জর আরাম হয়ে মাত্রা ১০ থেকে ২০ গ্রেন । অতিবিষা একটি প্রয়ােজনীয় ঔষধ ইহা জর নাশক ইন্দ্রিয়ের উত্তেজক বলকারক ও উদরাময় নাশক দীর্ঘকাল জ্বর ভােগের পর ইহা বলকারক ঔষধরূপে ব্যবহৃত হইয়া থাকে মাত্রা ৫ থেকে ১০ গ্রেন দিবসে তিন বার সেব্য । তথ্য সূত্রঃ ভারতীয় বনৌষধি প্রথম খন্ড পৃষ্ঠা নম্বর ১













Next Post Previous Post