মারহাটিটিগা বা বানগান্ড
যে নামে পরিচিতঃ
মারহাটিটিগা,বানগান্ডা,দন্তকুল,নাকফুল
গাছের পরিচয়ঃ
মারহাটিটিগা বা বানগন্ডা অত্যন্ত উপকারী একটি ঔষধি ঘাস ফুলের গাছ মারহাটিটিগা এটি দাঁতের জন্য বেশি উপকারী বলে এই গাছটিকে দন্তকুল বলে এর বাংলা নাম নাকফুল দন্তকুল আয়ুর্বেদিক নাম মারহাটিটিগা । মারহাটিটিগা বর্ষজীবি গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ এর শাখা লতানো এর শাখা থেকে প্রশাখা বের হয় লম্বায় ৫০ সেন্টিমিটার থেকে ৬০ সেন্টিমিটার সবুজ আভা রসে ভাড়ি শাখা প্রশাখা এতটাই ভারী যে সেগুলো নিচের দিকে হেলানো থাকে মারহাটিটিগা পাতা ছোট গারো সবুজ রঙের এবং খাসকাটা লম্বায় চার সেন্টিমিটার থেকে পাচ সেন্টিমিটার পাতা চিকন পাতার কোল থেকে প্রশাখা বের হয় এই প্রশাখার প্রান্তে প্রান্তে হলুদ রঙ্গের নাক ফুলের মত ফুল ফোটে। গরু ছাগল ও অন্নান্য তৃণ ভোজী প্রানীরা এই গাছের পাতা খায় না তৃণ ভোজী প্রানীদের মুখে চেতনানাশক হিসেবে কাজ করে। এই গাছের ফুল খেলে বা চিবুলে মুখের ভিতর বিশেষ ধরনের সেনসেশন তৈরি হয় যা বৈদ্যুতিক শকের মত অনুভুত হয় এরা সাধারনত উষ্ণ আবহাওয়ায় শীত প্রধান অঞ্চলে এন্যুয়াল উদ্ভিদ হিসেবে জন্মে কারন এরা বেশী ঠান্ডা পছন্দ করে না। ঔষধী গুনে ভরপুর এই উদ্ভিদ আমাদের দেশে প্রচুর জন্মে,দাতের ব্যাথা ও মুখ গহব্বরে আলসারে এই ফুল ও পাতার রস অত্যান্ত চমকপ্রদ ফলাফল প্রদর্শন করে। কচি পাতা ফুল ও কুঁড়ি থেকে প্রাপ্ত ন্যাচারাল এনালজেসিক যা জিহব্বা এবং দাতের মাড়ি অসাড় করে দেয়, তাই কখনো দাতে ব্যথা অনুভুত হলে এর ব্যবহার খুবই সমাদৃত।
জন্মস্থানঃ বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের প্রায় অধিকাংশ জেলার মাঠ ঘাট এবং ক্ষেতের আলে এ গাছটি নিজে থেকেই জন্মায় ।
ঔষুধ হিসাবে ব্যবহার হয়ঃ
মারহাটিটিগা গাছের উপকারিতা হিসেবে এর পাতা কান্ড ফুল ও ফল ব্যবহার করা হয়ঃ
যে সকল রােগের উপশম হয়ঃ
1️⃣ আমাশয় রোগের মারহাটিটিগা গাছের পাতা অনেক উপকারী অনেক দিনের পুরনো আমাশা হলে আর তাড়ানো যায় না তারপর আবার অনেকের শক্ত মলের সাথে সাদা সাদা আম বের হয় এক্ষেত্রে মারহাটিটিগা গাছের পাতা মিলিয়ে দশ গ্রাম সিদ্ধ করে ছেকে নিতে হবে আর যাদের আম যুক্ত দাস্ত হয় তারা শুধু পাঁচ থেকে ছয় গ্রাম সিদ্ধ করে পানিটা ছেঁকে খেতে হবে তাহলে আমাশয় থেকে মুক্তি পাবেন ।
2️⃣গনোরিয়া রোগ হলে প্রস্রাবের জায়গায় জ্বালা-যন্ত্রণা করে সে সময় মারহাটিটিগা পাতার রস করে তিন থেকে চার চা চামচ পরিমাণ তিন সপ্তাহ খেলে এই জ্বালা কমে যায়।
3️⃣ পেট ফেঁপে গেলে পেট ফুলে যায় হালকা বায়ু প্রসাব আটকে যায় এক্ষেত্রে এক থেকে দু চামচ মারহাটিটিগা পাতার রস অল্প পরিমাণ চিনির সাথে মিশিয়ে গরম করে অল্প পানির সাথে মিশিয়ে রোগীকে পান করাতে হবে তাহলে এই ধরনের সমস্যা দূর হবে।
4️⃣ মৌমাছি ভোমড়া বিচ্ছু ইত্যাদি পোকার কামড়ের আক্রান্ত স্থানে মারহাটিটিগা পাতার রস লাগালে ব্যথা জালা যন্ত্রণা থেকে রেহাই পাবে
5️⃣ অনেক সময় কোন কারণ ছাড়াই শরীর জালা পোড়া করে অস্থি লাগে এ ক্ষেত্রে দু চামচ মারহাটিটিগা পাতার রস আধা কাপ হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে সকাল বিকাল দুই বার পান করলে এ ধরনের সমস্যা দুর হয়।
6️⃣ গলায় ব্যথা করলে সামান্য গরম জলে মারহাটিটিগা পাতা সিদ্ধ করে সেই জল দিয়ে গড় গড় করলে বা পান করলে গলা ব্যথা ভালো হয়।
7️⃣ মারহাটিটিগা গাছের ফুল দাতের ব্যথার জন্য অত্যন্ত উপকারী দাঁতের ব্যথা করলে মারহাটিটিগা গাছের ফুল ছিঁড়ে দাঁতের ব্যথার স্থানে লাগালে ব্যথা দ্রুত সেরে যাবে।
9️⃣ মারহাটিটিগা শুধু ঔষধ হিসেবে নয় খাদ্য, মসলা ও প্রসাধনী হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। পাতা কাঁচা অবস্থায় সালাদ তৈরিতে ব্যবহার করা হয় এছাড়াও স্যুপ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। সাম্প্রতিক কালে এদের ফুল খাবারে ফ্লেভার এনহেন্সার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। মারহাটিটিগার ফুলের নির্যাস হার্বাল এক্সট্রাক্টস হিসেবে মুখমন্ডলের ত্বকের রুক্ষতা দূর করে সজীবতা আনয়ন সহ বলিরেখা দুরীকরনে কাজ করে। ফুলের নির্যাস সামান্য তুলাতে নিয়ে নেইল পলিশ রিমুভারের মত হাত ও পায়ের নখে প্রতিদিন একবার করে হালকা ভাবে ঘসে লাগালে নখের উজ্জলতা বৃদ্ধি পায়। তবে এই প্রক্রিয়াটি ৩ বছরের কম বয়সে ব্যবহার সম্পুর্ন নিষিদ্ধ।
মারহাটিটিগা,বানগান্ডা,দন্তকুল,নাকফুল
গাছের পরিচয়ঃ
মারহাটিটিগা বা বানগন্ডা অত্যন্ত উপকারী একটি ঔষধি ঘাস ফুলের গাছ মারহাটিটিগা এটি দাঁতের জন্য বেশি উপকারী বলে এই গাছটিকে দন্তকুল বলে এর বাংলা নাম নাকফুল দন্তকুল আয়ুর্বেদিক নাম মারহাটিটিগা । মারহাটিটিগা বর্ষজীবি গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ এর শাখা লতানো এর শাখা থেকে প্রশাখা বের হয় লম্বায় ৫০ সেন্টিমিটার থেকে ৬০ সেন্টিমিটার সবুজ আভা রসে ভাড়ি শাখা প্রশাখা এতটাই ভারী যে সেগুলো নিচের দিকে হেলানো থাকে মারহাটিটিগা পাতা ছোট গারো সবুজ রঙের এবং খাসকাটা লম্বায় চার সেন্টিমিটার থেকে পাচ সেন্টিমিটার পাতা চিকন পাতার কোল থেকে প্রশাখা বের হয় এই প্রশাখার প্রান্তে প্রান্তে হলুদ রঙ্গের নাক ফুলের মত ফুল ফোটে। গরু ছাগল ও অন্নান্য তৃণ ভোজী প্রানীরা এই গাছের পাতা খায় না তৃণ ভোজী প্রানীদের মুখে চেতনানাশক হিসেবে কাজ করে। এই গাছের ফুল খেলে বা চিবুলে মুখের ভিতর বিশেষ ধরনের সেনসেশন তৈরি হয় যা বৈদ্যুতিক শকের মত অনুভুত হয় এরা সাধারনত উষ্ণ আবহাওয়ায় শীত প্রধান অঞ্চলে এন্যুয়াল উদ্ভিদ হিসেবে জন্মে কারন এরা বেশী ঠান্ডা পছন্দ করে না। ঔষধী গুনে ভরপুর এই উদ্ভিদ আমাদের দেশে প্রচুর জন্মে,দাতের ব্যাথা ও মুখ গহব্বরে আলসারে এই ফুল ও পাতার রস অত্যান্ত চমকপ্রদ ফলাফল প্রদর্শন করে। কচি পাতা ফুল ও কুঁড়ি থেকে প্রাপ্ত ন্যাচারাল এনালজেসিক যা জিহব্বা এবং দাতের মাড়ি অসাড় করে দেয়, তাই কখনো দাতে ব্যথা অনুভুত হলে এর ব্যবহার খুবই সমাদৃত।
জন্মস্থানঃ বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের প্রায় অধিকাংশ জেলার মাঠ ঘাট এবং ক্ষেতের আলে এ গাছটি নিজে থেকেই জন্মায় ।
ঔষুধ হিসাবে ব্যবহার হয়ঃ
মারহাটিটিগা গাছের উপকারিতা হিসেবে এর পাতা কান্ড ফুল ও ফল ব্যবহার করা হয়ঃ
যে সকল রােগের উপশম হয়ঃ
1️⃣ আমাশয় রোগের মারহাটিটিগা গাছের পাতা অনেক উপকারী অনেক দিনের পুরনো আমাশা হলে আর তাড়ানো যায় না তারপর আবার অনেকের শক্ত মলের সাথে সাদা সাদা আম বের হয় এক্ষেত্রে মারহাটিটিগা গাছের পাতা মিলিয়ে দশ গ্রাম সিদ্ধ করে ছেকে নিতে হবে আর যাদের আম যুক্ত দাস্ত হয় তারা শুধু পাঁচ থেকে ছয় গ্রাম সিদ্ধ করে পানিটা ছেঁকে খেতে হবে তাহলে আমাশয় থেকে মুক্তি পাবেন ।
2️⃣গনোরিয়া রোগ হলে প্রস্রাবের জায়গায় জ্বালা-যন্ত্রণা করে সে সময় মারহাটিটিগা পাতার রস করে তিন থেকে চার চা চামচ পরিমাণ তিন সপ্তাহ খেলে এই জ্বালা কমে যায়।
3️⃣ পেট ফেঁপে গেলে পেট ফুলে যায় হালকা বায়ু প্রসাব আটকে যায় এক্ষেত্রে এক থেকে দু চামচ মারহাটিটিগা পাতার রস অল্প পরিমাণ চিনির সাথে মিশিয়ে গরম করে অল্প পানির সাথে মিশিয়ে রোগীকে পান করাতে হবে তাহলে এই ধরনের সমস্যা দূর হবে।
4️⃣ মৌমাছি ভোমড়া বিচ্ছু ইত্যাদি পোকার কামড়ের আক্রান্ত স্থানে মারহাটিটিগা পাতার রস লাগালে ব্যথা জালা যন্ত্রণা থেকে রেহাই পাবে
5️⃣ অনেক সময় কোন কারণ ছাড়াই শরীর জালা পোড়া করে অস্থি লাগে এ ক্ষেত্রে দু চামচ মারহাটিটিগা পাতার রস আধা কাপ হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে সকাল বিকাল দুই বার পান করলে এ ধরনের সমস্যা দুর হয়।
6️⃣ গলায় ব্যথা করলে সামান্য গরম জলে মারহাটিটিগা পাতা সিদ্ধ করে সেই জল দিয়ে গড় গড় করলে বা পান করলে গলা ব্যথা ভালো হয়।
7️⃣ মারহাটিটিগা গাছের ফুল দাতের ব্যথার জন্য অত্যন্ত উপকারী দাঁতের ব্যথা করলে মারহাটিটিগা গাছের ফুল ছিঁড়ে দাঁতের ব্যথার স্থানে লাগালে ব্যথা দ্রুত সেরে যাবে।
9️⃣ মারহাটিটিগা শুধু ঔষধ হিসেবে নয় খাদ্য, মসলা ও প্রসাধনী হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। পাতা কাঁচা অবস্থায় সালাদ তৈরিতে ব্যবহার করা হয় এছাড়াও স্যুপ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। সাম্প্রতিক কালে এদের ফুল খাবারে ফ্লেভার এনহেন্সার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। মারহাটিটিগার ফুলের নির্যাস হার্বাল এক্সট্রাক্টস হিসেবে মুখমন্ডলের ত্বকের রুক্ষতা দূর করে সজীবতা আনয়ন সহ বলিরেখা দুরীকরনে কাজ করে। ফুলের নির্যাস সামান্য তুলাতে নিয়ে নেইল পলিশ রিমুভারের মত হাত ও পায়ের নখে প্রতিদিন একবার করে হালকা ভাবে ঘসে লাগালে নখের উজ্জলতা বৃদ্ধি পায়। তবে এই প্রক্রিয়াটি ৩ বছরের কম বয়সে ব্যবহার সম্পুর্ন নিষিদ্ধ।