অনন্তমুল
যে নামে পরিচিতঃ
হিন্দিতে দুধি,কালিসার,শারমা,উর্দুতে বলে উপরসর
,সংস্কৃতিতে গােপবধু,শ্যামা,গুজরাটিতে কপরী,
তামিলে নান্নারি,আর বাংলায় বলে অনন্তমূল ।
গাছের পরিচয়ঃ
সরু এবং লতা জাতীয় উদ্ভিদ । পাতা লােমযুক্ত এবং কাণ্ডের দু ’ দিকে জন্মায় । তবে পাতাগুলাে আকারে সব সমান নয় । কিছুটা ডিম্বাকৃতির অথবা লম্বা এবং আগার দিকটা মােটা থাকে ।গাছের কিছু পাতা এক থেকে দেড় ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা ও চওড়া হয় । প্রাকৃতিক কারণে একই গাছের মধ্যে কয়েকটি পাতা চার ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা এবং সিকি ইঞ্চি চওড়া হয় । আর বোঁটা থাকে খুবই ছােট । ফুলের বাইরের দিকের রং সবুজ আর ভেতরে বেগুনী । পুষ্পনল ছােট আকারের । গুটি ৪ / ৫ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয় ।বীজ ছােট ও চ্যাপ্টা রং কালাে । গাছের পাতার মাঝখানে সাদা দাগ থাকে । এবং ডাটা সরু হয় । মূল ভেঙ্গে শুকালে এক ধরনের সুগন্ধ বেরােয় । মূল অনেক মােটা এবং কাঠের মতাে শক্ত হয় । বর্ষার সময় গাছে ফুল ফোটে । শীতের শুরুতে ফল ধরতে শুরু করে । এ গাছটি সম্পর্কে একটি কথা জানা থাকা দরকার । এর মূল ক্রমশ সরু হয়ে মাটির অনেক নীচে চলে যায় । কোথায় শেষ হয়েছে মাটি খুঁড়ে অনেক সময় তার হদিসও পাওয়া যায় না বােধহয় সেজন্যই এর নাম হয়েছে অনন্তমূল । দেশীয় বৈদ্যরা এর মূল ও শেকড় ঔষুধ হিসেবে ব্যবহারে নির্দেশ দিয়ে থাকেন । অনন্তমূলের মতাে দেখতে আরও একটি গাছ রয়েছে নাম শ্যামলতা বৈদ্যরা এর মূলও ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করেন । তবে পার্থক্য হলাে শ্যামলতার মূল অনন্তমূলের মতাে মাটির খুব গভীরে যায় না আর এর মূল থেকে কোন সুগন্ধও বেরােয় না ।
জন্মস্থানঃ বাংলাদেশের সব জেলাতে কম বেশি দেখা গেলেও সুন্দরবন অঞ্চলে অনন্তমূল গাছ প্রচুর জন্মে । ভারতের ওড়িশা ও বিহারে অনন্তমূল গাছ প্রচুর দেখা যায় ।
যে সকল রােগের উপশম হয়ঃ
1️⃣ অর্শ রোগে হলে তিন গ্রাম অনন্তমূল বেটে গরুর দুধের সঙ্গে জ্বাল দিয়ে দই পাততে হবে । সন্ধ্যার সময় এটা করা দরকার । পরের দিন সে দই খেলে অর্শ রােগে অবশ্যই উপকার হবে । সে সাথে খাবারে রুচি এবং ক্ষিদেও ঝড়াবে ।
2️⃣ অনিয়মিত ঋতু নির্দিষ্ট দিন চলে গেলেও মাসিক হয় না । অসময়ে এবং পনের থেকে ২০ দিন দেরিতে হলেও পরিমাণে খুব কম হয় এবং স্রাবে দুর্গন্ধ থাকে । তিন গ্রাম অনন্তমূল সামান্য পানি দিয়ে বেটে এক কাপ জাল দেয়া গরুর ঠাণ্ডা দুধে মিশিয়ে সকাল বিকেল মােট দু বার খাওয়ালে ঋতু নিয়মিত হবে এবং স্রাবে কোন দুর্গন্ধও থাকবে না ।
3️⃣ জিহ্বাক্ষত হলে বা ঘা হলে ভেড়ার দুধে শুকনাে অনন্তমূল ঘষে মাঝে মাঝে ক্ষতস্থানে লাগালে জিভ ও মুখের ঘা সারে ।
4️⃣ শরীরে পিত্ত বাড়লে বিশেষ করে ভাদ্র ও আশ্বিন মাসে হাত পায়ের তালু জ্বালা করে । ২ থেকে ৩ গ্রাম অনন্তমূল শীল পাটায় বেটে দু চামট চিনি মিশিয়ে ঠান্ডা পানিতে শরবত বানিয়ে খেলে পিত্ত এবং হাত পায়ের তালুর জ্বালা পােড়া দূর হয় ।
5️⃣ মূত্ররােধ হলে ৬০ / ৭০ গ্রাম অনন্তমূল ছােট ছােট করে কেটে ২০ মিলিলিটার পানিতে সারারাত ভিজিয়ে সে পানি পরিষ্কার পাতলা কাপড়ে ছেকে পান করলে ৩ / ৪ গুণ বেশি প্রস্রাব হয় । এছাড়া মূত্ররােধ রােগে খুবই উপকার পাওয়া যায় ।
6️⃣ অগ্নিমান্দ্য ও অজীর্ণ হলে ২ / ৩ গ্রাম শুকনা অনন্তমূল গুঁড়াে সকালে খালিপেটে এক গ্লাস ঠান্ডা পানি দিয়ে খেলে ক্ষুধা ও হজমশক্তি বাড়ে । নিয়মিত দশ পনের দিন খাওয়া প্রয়ােজন ।
7️⃣ পাথুরীর যন্ত্রণা হলে গরুর দুধ দিয়ে ২ / ৩ গ্রাম অনন্তমূল বেটে খাওয়ালে খুব তাড়াতাড়ি রােগী অসহ্য যন্ত্রণার হাত থেকে মুক্তি পায় ।
8️⃣ বুকের দুধ সল্পতা দেখা দিলে ১২৫ গ্রাম অনন্তমূল এবং দেড় লিটার পানি একটি মাটির হাঁড়িতে রেখে সিদ্ধ করতে হবে । হাঁড়ির মুখে মাটির সরা দিয়ে অবশ্যই চাপা দেয়া প্রয়ােজন ৪০ মিনিটের মত সিদ্ধ হবার পর হাঁড়ি আগুন থেকে নামিয়ে ঠাণ্ডা হলে ছেকে নিতে হবে । দিনে একবার করে চায়ের কাপের এক কাপ পরিমাণ খেলে বুকের দুধ বাড়বে।
9️⃣ খুস খুসে কাশি হলে মূলচুর্ন ১.৫ গ্রাম মাএায় সকালে ও সন্ধায় দুবার খেতে হবে।
🔟 শরীরের যে কোন স্থানে ঘামের দুর্গন্ধ হতে পারে।এ অবস্থায় মূল বেটে অল্প ঘিয়ে মিশিয়ে সেই ঘি দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী স্থানসমুহে মালিশ করার পর গোসল করলে ঐ দুর্গন্ধ চলে যায়।
1️⃣1️⃣ একজিমা এবং হাঁপানী সমস্যা দুটো একসঙ্গে দেখা দিলে বা থাকলে তিন গ্রাম পরিমান অনন্তমূল পানিতে বেটে অল্প বিশুদ্ধ সৈন্ধব লবন মিশিয়ে সরবত তৈরি করে দু বেলা খেতে হবে।বয়স অনুপাতে অনন্তমূল এর মাত্রা কমাতে ও বাড়াতে হবে।
হিন্দিতে দুধি,কালিসার,শারমা,উর্দুতে বলে উপরসর
,সংস্কৃতিতে গােপবধু,শ্যামা,গুজরাটিতে কপরী,
তামিলে নান্নারি,আর বাংলায় বলে অনন্তমূল ।
গাছের পরিচয়ঃ
সরু এবং লতা জাতীয় উদ্ভিদ । পাতা লােমযুক্ত এবং কাণ্ডের দু ’ দিকে জন্মায় । তবে পাতাগুলাে আকারে সব সমান নয় । কিছুটা ডিম্বাকৃতির অথবা লম্বা এবং আগার দিকটা মােটা থাকে ।গাছের কিছু পাতা এক থেকে দেড় ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা ও চওড়া হয় । প্রাকৃতিক কারণে একই গাছের মধ্যে কয়েকটি পাতা চার ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা এবং সিকি ইঞ্চি চওড়া হয় । আর বোঁটা থাকে খুবই ছােট । ফুলের বাইরের দিকের রং সবুজ আর ভেতরে বেগুনী । পুষ্পনল ছােট আকারের । গুটি ৪ / ৫ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয় ।বীজ ছােট ও চ্যাপ্টা রং কালাে । গাছের পাতার মাঝখানে সাদা দাগ থাকে । এবং ডাটা সরু হয় । মূল ভেঙ্গে শুকালে এক ধরনের সুগন্ধ বেরােয় । মূল অনেক মােটা এবং কাঠের মতাে শক্ত হয় । বর্ষার সময় গাছে ফুল ফোটে । শীতের শুরুতে ফল ধরতে শুরু করে । এ গাছটি সম্পর্কে একটি কথা জানা থাকা দরকার । এর মূল ক্রমশ সরু হয়ে মাটির অনেক নীচে চলে যায় । কোথায় শেষ হয়েছে মাটি খুঁড়ে অনেক সময় তার হদিসও পাওয়া যায় না বােধহয় সেজন্যই এর নাম হয়েছে অনন্তমূল । দেশীয় বৈদ্যরা এর মূল ও শেকড় ঔষুধ হিসেবে ব্যবহারে নির্দেশ দিয়ে থাকেন । অনন্তমূলের মতাে দেখতে আরও একটি গাছ রয়েছে নাম শ্যামলতা বৈদ্যরা এর মূলও ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করেন । তবে পার্থক্য হলাে শ্যামলতার মূল অনন্তমূলের মতাে মাটির খুব গভীরে যায় না আর এর মূল থেকে কোন সুগন্ধও বেরােয় না ।
জন্মস্থানঃ বাংলাদেশের সব জেলাতে কম বেশি দেখা গেলেও সুন্দরবন অঞ্চলে অনন্তমূল গাছ প্রচুর জন্মে । ভারতের ওড়িশা ও বিহারে অনন্তমূল গাছ প্রচুর দেখা যায় ।
যে সকল রােগের উপশম হয়ঃ
1️⃣ অর্শ রোগে হলে তিন গ্রাম অনন্তমূল বেটে গরুর দুধের সঙ্গে জ্বাল দিয়ে দই পাততে হবে । সন্ধ্যার সময় এটা করা দরকার । পরের দিন সে দই খেলে অর্শ রােগে অবশ্যই উপকার হবে । সে সাথে খাবারে রুচি এবং ক্ষিদেও ঝড়াবে ।
2️⃣ অনিয়মিত ঋতু নির্দিষ্ট দিন চলে গেলেও মাসিক হয় না । অসময়ে এবং পনের থেকে ২০ দিন দেরিতে হলেও পরিমাণে খুব কম হয় এবং স্রাবে দুর্গন্ধ থাকে । তিন গ্রাম অনন্তমূল সামান্য পানি দিয়ে বেটে এক কাপ জাল দেয়া গরুর ঠাণ্ডা দুধে মিশিয়ে সকাল বিকেল মােট দু বার খাওয়ালে ঋতু নিয়মিত হবে এবং স্রাবে কোন দুর্গন্ধও থাকবে না ।
3️⃣ জিহ্বাক্ষত হলে বা ঘা হলে ভেড়ার দুধে শুকনাে অনন্তমূল ঘষে মাঝে মাঝে ক্ষতস্থানে লাগালে জিভ ও মুখের ঘা সারে ।
4️⃣ শরীরে পিত্ত বাড়লে বিশেষ করে ভাদ্র ও আশ্বিন মাসে হাত পায়ের তালু জ্বালা করে । ২ থেকে ৩ গ্রাম অনন্তমূল শীল পাটায় বেটে দু চামট চিনি মিশিয়ে ঠান্ডা পানিতে শরবত বানিয়ে খেলে পিত্ত এবং হাত পায়ের তালুর জ্বালা পােড়া দূর হয় ।
5️⃣ মূত্ররােধ হলে ৬০ / ৭০ গ্রাম অনন্তমূল ছােট ছােট করে কেটে ২০ মিলিলিটার পানিতে সারারাত ভিজিয়ে সে পানি পরিষ্কার পাতলা কাপড়ে ছেকে পান করলে ৩ / ৪ গুণ বেশি প্রস্রাব হয় । এছাড়া মূত্ররােধ রােগে খুবই উপকার পাওয়া যায় ।
6️⃣ অগ্নিমান্দ্য ও অজীর্ণ হলে ২ / ৩ গ্রাম শুকনা অনন্তমূল গুঁড়াে সকালে খালিপেটে এক গ্লাস ঠান্ডা পানি দিয়ে খেলে ক্ষুধা ও হজমশক্তি বাড়ে । নিয়মিত দশ পনের দিন খাওয়া প্রয়ােজন ।
7️⃣ পাথুরীর যন্ত্রণা হলে গরুর দুধ দিয়ে ২ / ৩ গ্রাম অনন্তমূল বেটে খাওয়ালে খুব তাড়াতাড়ি রােগী অসহ্য যন্ত্রণার হাত থেকে মুক্তি পায় ।
8️⃣ বুকের দুধ সল্পতা দেখা দিলে ১২৫ গ্রাম অনন্তমূল এবং দেড় লিটার পানি একটি মাটির হাঁড়িতে রেখে সিদ্ধ করতে হবে । হাঁড়ির মুখে মাটির সরা দিয়ে অবশ্যই চাপা দেয়া প্রয়ােজন ৪০ মিনিটের মত সিদ্ধ হবার পর হাঁড়ি আগুন থেকে নামিয়ে ঠাণ্ডা হলে ছেকে নিতে হবে । দিনে একবার করে চায়ের কাপের এক কাপ পরিমাণ খেলে বুকের দুধ বাড়বে।
9️⃣ খুস খুসে কাশি হলে মূলচুর্ন ১.৫ গ্রাম মাএায় সকালে ও সন্ধায় দুবার খেতে হবে।
🔟 শরীরের যে কোন স্থানে ঘামের দুর্গন্ধ হতে পারে।এ অবস্থায় মূল বেটে অল্প ঘিয়ে মিশিয়ে সেই ঘি দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী স্থানসমুহে মালিশ করার পর গোসল করলে ঐ দুর্গন্ধ চলে যায়।
1️⃣1️⃣ একজিমা এবং হাঁপানী সমস্যা দুটো একসঙ্গে দেখা দিলে বা থাকলে তিন গ্রাম পরিমান অনন্তমূল পানিতে বেটে অল্প বিশুদ্ধ সৈন্ধব লবন মিশিয়ে সরবত তৈরি করে দু বেলা খেতে হবে।বয়স অনুপাতে অনন্তমূল এর মাত্রা কমাতে ও বাড়াতে হবে।