আকন্দ
আকন্দ যে নামে পরিচিতঃ
আরবীতে উষর,সংস্কৃতে অর্ক,তামিলে অর্কম হিন্দিতে মন্দার,আকন্দ,অকল,আর বাংলায় বলে আকন্দ ।
গাছের পরিচয়ঃ
আকন্দ মাঝারি ধরনের ঝোপ জাতীয় উদ্ভিদ। ৮ থেকে ৭ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয় কান্ড কিছুটা শক্ত হয় , কচি ডাল পশমময় । পাতা ৪ থেকে ৮ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা , চওয়া ১ থেকে ৩ ইঞ্চি মতাে । গাছের পাতা শাখা ভাঙলে দুধের মত সাদা আঠা বের হয়। পাতার আকারের চেয়ে বোঁটা খুবই ছােট হয় । পুষ্পদন্ড বহু শাখাবিশিষ্ট এবং থােকার আকারে বহু ফুল ফোটে । ফুলের রং সাদা বা বেগুনী । কিছু ক্ষেত্রে ফল ৪ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয় । বিচি সিকি ইঞ্চি লম্বা , ডিম্বাকৃতি এবং পশমময় । ফল পাকলে ফেটে যায় এবং বাতাসে বিচি উড়ে বেড়ায় । ফেব্রুয়ারি - মার্চ মাসের মধ্যে গাছে ফুল ফোটে এবং মে - জুন মাসে ফল ধরে ।
আকন্দ গাছের শ্রেণীঃ
বড় গ্ৰাছ সাধারণতঃ তিন ধরণের হয়ে থাকে । ( ক ) বড় গাছ ও ফুল শ্বেতবর্ণ , বড় বড় পাতা এবং তা থেকে বেশি পরিমাণে আঠা বেরােয় । ( খ ) ছােট গাছঃ ছােট ছােট পাতা হয় । ফুল সাদা এবং বেশ সুন্দর দেখায় । ( গ ) খুবই ছােট আকৃতির গাছঃ ফিকে পীত আভাযুক্ত সবুজ বর্ণের ফুল হয় । এ শ্রেণীর গাছ থেকে অনেক বেশি পরিমাণে আঠা বেরােয় । ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হিন্দু বৈদ্যদের মতে শ্বেত আকন্দকে আদৰ্ক এবং বেগুনী ফুলধারী গাছকে অর্ককান্তা বলে ।
জন্মস্থানঃ
বড় গাছ আমাদের দেশের এবং ভারতের বিহার ও পশ্চিমবঙ্গের প্রাম - অঞ্চলের বসতবাড়ির কাছে এবং ফাকা জমিতে বা রাস্ত য় ধারে জন্মায় । এবং ছােট গাছ মরুভুমির পরিবেশে ভালাে জম্মায় । আমাদের দেশের উত্তর বঙ্গে এবং ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ও ছােট আকন্দ গাছ দেখা যায় ।
চাষাবাদঃ
৩ থেকে ৪ ফুট দুরুত্বে আগন্দ গাছ লাগাতে হয়। তবে মে- জুন মাসে ফল পাকলে ফেটে বীজ বাতাসে ভেসে বেড়ায়। এ সময় এটি চাষ করা ভালো। এছাড়াও কাটিং পদ্ধতিতেও এটি চাষ করা যায়। প্রতি কেজিতে বীজের পরিমাণ: ১লক্ষ ৩৫ হাজার থেকে ১ লাখ ৪০ হাজারটি।
বীজ সংরক্ষনঃ
বীজ থেকে বংশ বিস্তর সম্ভব হলেও সাধারণ এর মোথা ও সাকার অংশ থেকে বংশ বিস্তার হয়ে থাকে। আকন্দ ব্যবহার্য অংশ: ফুল, পাতা, শিকড় ও আঠা।
যে সকল রােগের উপশম হয়ঃ
1️⃣ ছুলি ও মেচতায় ও বর্ষায় অনেকের সারা গা ছুলিতে ভরে যায় । আবার বয়সকালে গালে ব্রণ হলে তা থেকে প্রথমে কালাে দাগ পড়ে , পরবর্তীতে বিরাট অংশ জুড়ে কালাে ছােপ পড়ে যায় । এ দাগকে মেচতা । বলে । কুমারী মেয়েদের এ ধরণের দাগ দেখা দিলে মুখের শ্রী ও লাবন্য নষ্ট হয়ে যায় এবং বিয়ের জন্য অসুবিধার সৃষ্টি হতে পারে । ৩ গ্রাম হলুদের গুঁড়াে এবং আকন্দের ৫ - ৬ ফোটা আঠা মিশিয়ে গােসলের এক ঘন্টা আগে লাগালে দুটো রােগেরই উপকার হবে ।
2️⃣ ঠাণ্ডা , কাশি ও অজীর্ণে আকন্দের ফুলকে রােদে ভালভাবে শুকিয়ে তারপর গুঁড়াে করে অজীর্ণে প্রত্যহ দুপুরে ভাত খাওয়ার পর এক চামচ পরিমাণ খেতে হবে ঠাণ্ডা কাশিতে ১ চামচ করে সকাল - সন্ধ্যায় মােট দু ' বার খাওয়া দরকার ।
3️⃣ ফোলাতে ও যে কোন কারণে দেহের কোন অংশ ফুলে গেলে সে স্থানে প্রথমে আকন্দ পাতা দিয়ে ঢেকে তারপর কাপড়ে জড়িয়ে বেঁধে রাখলে ফোলা কমে যায়
4️⃣ বিছের কামড়েঃ প্রথমে ধারালাে ব্লেড বা ছুরি দ্বারা বিছের হুল বের করে নিতে হবে । এরপর সে জায়গায় আকন্দের আঠার প্রলেপ দিলে নিশ্চিত উপশম হবে ।
5️⃣ কানের যন্ত্রণায় আকন্দ পাতায় পুরনাে গাওয়া ঘি মাখিয়ে সে পাতাকে আগুনে ভালােভাবে সেঁকে নিতে হবে । এরপর পাতাকে নিংড়ে কানে দিয়ে তুলাে দ্বারা কান বন্ধ করা দরকার । মাত্র দু ' দিন প্রয়ােগ করলেই যন্ত্রণার উপশম হবে ।
6️⃣ রক্ত আমাশয়ঃ ৫গ্রাম আকন্দ গাছের শেকড়ের ছাল , পরিষ্কার । পানি দিয়ে বেটে , তার পুরাে রসটা একটা কাচের গ্লাসে রাখতে হবে । এরপর ঐ রসে সরষে দানার পরিমানে আফিং মিশিয়ে সকালে একবার এবং সন্ধ্যায় আরেকবার খেলে রােগী অবশ্যই ভাল হবে । তবে রােগীর সামান্য তন্দ্রাভাব দেখা দিতে পারে । এতে দুঃশ্চিন্তার কিছু নেই ।
7️⃣ কাউর ও চর্মরােগঃ ১৬ ফোটা আকন্দর আঠা , সমপরিমাণ তিল তেল এবং এক ফোটা হলুদের গুঁড়াে মিশিয়ে মলম তৈরী করে রাতে ঘুমানাের আগে মাত্র একবার লাগালে নিশ্চিত সেরে যাবে ।
8️⃣ গােদ রােগে আকন্দ গাছের মূলের ছালকে ভালভাবে বেটে প্রলেপ দিলে গােদ রােগী আরাম বােধ করে ।
9️⃣ গেঁটে বাত হলেঃ আকন্দ গাছের আঠা সামান্য সরষে তেল মিশিয়ে মালিশ করলে বা রাতে ঘুমানাের সময় আক্রান্ত অঙ্গের অংশটি আকন্দ পাতা দিয়ে ঢেকে তারপর কাপড়ের ফালি দিয়ে বেঁধে রাখলে বাতের ফুলাে এবং যন্ত্রণা দুটোই কমে যাবে ।
🔟 মশা ও ইদুরের উৎপাতে মশা তাড়াতে ও ইদুরের উৎপাত কমাতে শুকনো আকন্দ পাতা পুড়িয়ে তার ধোয়া দিলে , মশা ও ইদুরের উপদ্রব দূর হয় ।
1️⃣1️⃣ দাতের ব্যাথায় আকন্দের কষ তুলায় ভিজিয়ে দাতে লাগালে দাঁতের ব্যথা দূর হয়।
1️⃣2️⃣ আকন্দের কষ তুলায় ভিজিয়ে যৌনিতে ধারণ করলে গভর্পাত ঘটায়।
1️⃣3️⃣ অম্বল/এসিডিটি দেখা দিলে: ০.৬৫ গ্রাম পরিমাণ আকন্দ পোড়া ছাই পানিসহ পান করলে সঙ্গে সঙ্গে উপকার পাওয়া যায়।
1️⃣4️⃣ পেট কাপড়ানি বা পেট জ্বালায়: আকন্দ পাতার সোজা দিকে সরিষার তেল মাখিয়ে পাতাটি অল্প গরম করে পেটের উপর রাখলে বা ছেঁক দিলে পেট কামড়ানো বা পেট জ্বালা বন্ধ হয়।
1️⃣5️⃣ শ্বাস কষ্টে: আকন্দের শিকড়ের ছাল প্রথমে গুড়া করে তারপর আকন্দের আঠায় ভিজিয়ে রেখে পরে শুকিয়ে নিতে হবে। এর পর তা চুরুট বানিয়ে ধুমপান করলে শ্বাস কষ্ট ভাল হয়।
1️⃣6️⃣ নিউমোনিয়াজনিত বেদনায়: আকন্দ পাতার সোজা দিক ঘি মেখে ব্যথার জায়গায় বসিয়ে লবনের পুটলি দিয়ে ছেক দিলে উপকার পাওয়া যায়
1️⃣7️⃣ হজম শক্তি কমে গেলে: ২ গ্রাম পরিমাণ শুকনো আকন্দ মুল গুড়া করে খেলে ক্ষুধা বৃদ্ধি পায়।
1️⃣8️⃣ খোস-পাচড়া বা অ্যাকজিমা : আকন্দের আঠার সঙ্গে চারগুণ সরিষার তেল মিশিয়ে গরম করে গরম তেলের সঙ্গে কাচা হলুদের রস মিশিয়ে খোস-পাচড়ায় মাখলে ভালো হয়ে যায়।
1️⃣9️⃣ পা মুচকানো : প্রচন্ড ব্যথায় এই আকন্দ পাতা দিয়ে গরম ছেকা দিলে ব্যথা উপশম হয়।
2️⃣0️⃣ ব্রণ : আকন্দ পাতা ওষুধ হিসেবে ব্রণ ফাটাতে সাহায্য করে। আকন্দ পাতা দিয়ে ব্রণ চেপে বেঁধে রাখলে ব্রণ ফেটে যায়।
2️⃣1️⃣ অনেক ভেষজ শাস্ত্রে পাওয়া যায় যে, হাঁপানি রোগের মহৌষধ হলো আকন্দ পাতা। এজন্য ১৪টি আকন্দ ফুলের মাঝের চৌকো অংশটি নিয়ে এর সাথে ২১টি গোলমরিচ একসঙ্গে বেটে ২১টি বড়ি বা ট্যাবলেট বানিয়ে প্রতিদিন সকালে পানি দিয়ে ১টি করে খেলে হাঁপানি রোগের উপশম হয়। এই ওষুধ খাওয়ার সময় পথ্য হিসেবে শুধু দুধ ভাত খেতে হয়। এতে শ্বাসকষ্ট কেটে যায়।
2️⃣2️⃣এছাড়াও আকন্দ গাছের পাতা ফোঁড়া ফাটাতে সাহায্য করে আকন্দ পাতা দিয়ে ফোঁড়া চেপে বেঁধে রাখলে অতি সহজে ফোঁড়া ফেটে যায়।
2️⃣3️⃣ পাতা একটু গরম করে গেটে বাতে যন্ত্রণাদায়ক এবং স্ফীত প্রলেপ দিলে স্ফীতি কমে যায় এবং বাত ব্যথা যন্ত্রণা সেরে যায়
2️⃣4️⃣ খাঁটি সরিষার তেলে পাতা সিদ্ধ করে সেই তেল অবশ অঙ্গে মালিশ করলে উপকার হয়
2️⃣5️⃣ ৫ থেকে ১০ গ্রেন মাত্রায় আকন্দের শিকড়ের গুড়ো ব্যবস্থা করলে রক্ত আমাশার রোগী ভালো হয়
2️⃣6️⃣ অনেক সময় নবজাত শিশুর মাথা শরীরের তুলনায় অস্বাভাবিকভাবে বড় হয়ে থাকে এরূপ ক্ষেত্রে আকন্দের তুলার বালিশে শোয়ালে আস্তে আস্তে মাথা স্বাভাবিক হয়ে আসে
2️⃣7️⃣ টাটকা শিকড় ধারা দাঁত মাজলে দাঁত শক্ত ও মজবুত হয়
আরবীতে উষর,সংস্কৃতে অর্ক,তামিলে অর্কম হিন্দিতে মন্দার,আকন্দ,অকল,আর বাংলায় বলে আকন্দ ।
গাছের পরিচয়ঃ
আকন্দ মাঝারি ধরনের ঝোপ জাতীয় উদ্ভিদ। ৮ থেকে ৭ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয় কান্ড কিছুটা শক্ত হয় , কচি ডাল পশমময় । পাতা ৪ থেকে ৮ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা , চওয়া ১ থেকে ৩ ইঞ্চি মতাে । গাছের পাতা শাখা ভাঙলে দুধের মত সাদা আঠা বের হয়। পাতার আকারের চেয়ে বোঁটা খুবই ছােট হয় । পুষ্পদন্ড বহু শাখাবিশিষ্ট এবং থােকার আকারে বহু ফুল ফোটে । ফুলের রং সাদা বা বেগুনী । কিছু ক্ষেত্রে ফল ৪ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয় । বিচি সিকি ইঞ্চি লম্বা , ডিম্বাকৃতি এবং পশমময় । ফল পাকলে ফেটে যায় এবং বাতাসে বিচি উড়ে বেড়ায় । ফেব্রুয়ারি - মার্চ মাসের মধ্যে গাছে ফুল ফোটে এবং মে - জুন মাসে ফল ধরে ।
আকন্দ গাছের শ্রেণীঃ
বড় গ্ৰাছ সাধারণতঃ তিন ধরণের হয়ে থাকে । ( ক ) বড় গাছ ও ফুল শ্বেতবর্ণ , বড় বড় পাতা এবং তা থেকে বেশি পরিমাণে আঠা বেরােয় । ( খ ) ছােট গাছঃ ছােট ছােট পাতা হয় । ফুল সাদা এবং বেশ সুন্দর দেখায় । ( গ ) খুবই ছােট আকৃতির গাছঃ ফিকে পীত আভাযুক্ত সবুজ বর্ণের ফুল হয় । এ শ্রেণীর গাছ থেকে অনেক বেশি পরিমাণে আঠা বেরােয় । ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হিন্দু বৈদ্যদের মতে শ্বেত আকন্দকে আদৰ্ক এবং বেগুনী ফুলধারী গাছকে অর্ককান্তা বলে ।
জন্মস্থানঃ
বড় গাছ আমাদের দেশের এবং ভারতের বিহার ও পশ্চিমবঙ্গের প্রাম - অঞ্চলের বসতবাড়ির কাছে এবং ফাকা জমিতে বা রাস্ত য় ধারে জন্মায় । এবং ছােট গাছ মরুভুমির পরিবেশে ভালাে জম্মায় । আমাদের দেশের উত্তর বঙ্গে এবং ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ও ছােট আকন্দ গাছ দেখা যায় ।
চাষাবাদঃ
৩ থেকে ৪ ফুট দুরুত্বে আগন্দ গাছ লাগাতে হয়। তবে মে- জুন মাসে ফল পাকলে ফেটে বীজ বাতাসে ভেসে বেড়ায়। এ সময় এটি চাষ করা ভালো। এছাড়াও কাটিং পদ্ধতিতেও এটি চাষ করা যায়। প্রতি কেজিতে বীজের পরিমাণ: ১লক্ষ ৩৫ হাজার থেকে ১ লাখ ৪০ হাজারটি।
বীজ সংরক্ষনঃ
বীজ থেকে বংশ বিস্তর সম্ভব হলেও সাধারণ এর মোথা ও সাকার অংশ থেকে বংশ বিস্তার হয়ে থাকে। আকন্দ ব্যবহার্য অংশ: ফুল, পাতা, শিকড় ও আঠা।
যে সকল রােগের উপশম হয়ঃ
1️⃣ ছুলি ও মেচতায় ও বর্ষায় অনেকের সারা গা ছুলিতে ভরে যায় । আবার বয়সকালে গালে ব্রণ হলে তা থেকে প্রথমে কালাে দাগ পড়ে , পরবর্তীতে বিরাট অংশ জুড়ে কালাে ছােপ পড়ে যায় । এ দাগকে মেচতা । বলে । কুমারী মেয়েদের এ ধরণের দাগ দেখা দিলে মুখের শ্রী ও লাবন্য নষ্ট হয়ে যায় এবং বিয়ের জন্য অসুবিধার সৃষ্টি হতে পারে । ৩ গ্রাম হলুদের গুঁড়াে এবং আকন্দের ৫ - ৬ ফোটা আঠা মিশিয়ে গােসলের এক ঘন্টা আগে লাগালে দুটো রােগেরই উপকার হবে ।
2️⃣ ঠাণ্ডা , কাশি ও অজীর্ণে আকন্দের ফুলকে রােদে ভালভাবে শুকিয়ে তারপর গুঁড়াে করে অজীর্ণে প্রত্যহ দুপুরে ভাত খাওয়ার পর এক চামচ পরিমাণ খেতে হবে ঠাণ্ডা কাশিতে ১ চামচ করে সকাল - সন্ধ্যায় মােট দু ' বার খাওয়া দরকার ।
3️⃣ ফোলাতে ও যে কোন কারণে দেহের কোন অংশ ফুলে গেলে সে স্থানে প্রথমে আকন্দ পাতা দিয়ে ঢেকে তারপর কাপড়ে জড়িয়ে বেঁধে রাখলে ফোলা কমে যায়
4️⃣ বিছের কামড়েঃ প্রথমে ধারালাে ব্লেড বা ছুরি দ্বারা বিছের হুল বের করে নিতে হবে । এরপর সে জায়গায় আকন্দের আঠার প্রলেপ দিলে নিশ্চিত উপশম হবে ।
5️⃣ কানের যন্ত্রণায় আকন্দ পাতায় পুরনাে গাওয়া ঘি মাখিয়ে সে পাতাকে আগুনে ভালােভাবে সেঁকে নিতে হবে । এরপর পাতাকে নিংড়ে কানে দিয়ে তুলাে দ্বারা কান বন্ধ করা দরকার । মাত্র দু ' দিন প্রয়ােগ করলেই যন্ত্রণার উপশম হবে ।
6️⃣ রক্ত আমাশয়ঃ ৫গ্রাম আকন্দ গাছের শেকড়ের ছাল , পরিষ্কার । পানি দিয়ে বেটে , তার পুরাে রসটা একটা কাচের গ্লাসে রাখতে হবে । এরপর ঐ রসে সরষে দানার পরিমানে আফিং মিশিয়ে সকালে একবার এবং সন্ধ্যায় আরেকবার খেলে রােগী অবশ্যই ভাল হবে । তবে রােগীর সামান্য তন্দ্রাভাব দেখা দিতে পারে । এতে দুঃশ্চিন্তার কিছু নেই ।
7️⃣ কাউর ও চর্মরােগঃ ১৬ ফোটা আকন্দর আঠা , সমপরিমাণ তিল তেল এবং এক ফোটা হলুদের গুঁড়াে মিশিয়ে মলম তৈরী করে রাতে ঘুমানাের আগে মাত্র একবার লাগালে নিশ্চিত সেরে যাবে ।
8️⃣ গােদ রােগে আকন্দ গাছের মূলের ছালকে ভালভাবে বেটে প্রলেপ দিলে গােদ রােগী আরাম বােধ করে ।
9️⃣ গেঁটে বাত হলেঃ আকন্দ গাছের আঠা সামান্য সরষে তেল মিশিয়ে মালিশ করলে বা রাতে ঘুমানাের সময় আক্রান্ত অঙ্গের অংশটি আকন্দ পাতা দিয়ে ঢেকে তারপর কাপড়ের ফালি দিয়ে বেঁধে রাখলে বাতের ফুলাে এবং যন্ত্রণা দুটোই কমে যাবে ।
🔟 মশা ও ইদুরের উৎপাতে মশা তাড়াতে ও ইদুরের উৎপাত কমাতে শুকনো আকন্দ পাতা পুড়িয়ে তার ধোয়া দিলে , মশা ও ইদুরের উপদ্রব দূর হয় ।
1️⃣1️⃣ দাতের ব্যাথায় আকন্দের কষ তুলায় ভিজিয়ে দাতে লাগালে দাঁতের ব্যথা দূর হয়।
1️⃣2️⃣ আকন্দের কষ তুলায় ভিজিয়ে যৌনিতে ধারণ করলে গভর্পাত ঘটায়।
1️⃣3️⃣ অম্বল/এসিডিটি দেখা দিলে: ০.৬৫ গ্রাম পরিমাণ আকন্দ পোড়া ছাই পানিসহ পান করলে সঙ্গে সঙ্গে উপকার পাওয়া যায়।
1️⃣4️⃣ পেট কাপড়ানি বা পেট জ্বালায়: আকন্দ পাতার সোজা দিকে সরিষার তেল মাখিয়ে পাতাটি অল্প গরম করে পেটের উপর রাখলে বা ছেঁক দিলে পেট কামড়ানো বা পেট জ্বালা বন্ধ হয়।
1️⃣5️⃣ শ্বাস কষ্টে: আকন্দের শিকড়ের ছাল প্রথমে গুড়া করে তারপর আকন্দের আঠায় ভিজিয়ে রেখে পরে শুকিয়ে নিতে হবে। এর পর তা চুরুট বানিয়ে ধুমপান করলে শ্বাস কষ্ট ভাল হয়।
1️⃣6️⃣ নিউমোনিয়াজনিত বেদনায়: আকন্দ পাতার সোজা দিক ঘি মেখে ব্যথার জায়গায় বসিয়ে লবনের পুটলি দিয়ে ছেক দিলে উপকার পাওয়া যায়
1️⃣7️⃣ হজম শক্তি কমে গেলে: ২ গ্রাম পরিমাণ শুকনো আকন্দ মুল গুড়া করে খেলে ক্ষুধা বৃদ্ধি পায়।
1️⃣8️⃣ খোস-পাচড়া বা অ্যাকজিমা : আকন্দের আঠার সঙ্গে চারগুণ সরিষার তেল মিশিয়ে গরম করে গরম তেলের সঙ্গে কাচা হলুদের রস মিশিয়ে খোস-পাচড়ায় মাখলে ভালো হয়ে যায়।
1️⃣9️⃣ পা মুচকানো : প্রচন্ড ব্যথায় এই আকন্দ পাতা দিয়ে গরম ছেকা দিলে ব্যথা উপশম হয়।
2️⃣0️⃣ ব্রণ : আকন্দ পাতা ওষুধ হিসেবে ব্রণ ফাটাতে সাহায্য করে। আকন্দ পাতা দিয়ে ব্রণ চেপে বেঁধে রাখলে ব্রণ ফেটে যায়।
2️⃣1️⃣ অনেক ভেষজ শাস্ত্রে পাওয়া যায় যে, হাঁপানি রোগের মহৌষধ হলো আকন্দ পাতা। এজন্য ১৪টি আকন্দ ফুলের মাঝের চৌকো অংশটি নিয়ে এর সাথে ২১টি গোলমরিচ একসঙ্গে বেটে ২১টি বড়ি বা ট্যাবলেট বানিয়ে প্রতিদিন সকালে পানি দিয়ে ১টি করে খেলে হাঁপানি রোগের উপশম হয়। এই ওষুধ খাওয়ার সময় পথ্য হিসেবে শুধু দুধ ভাত খেতে হয়। এতে শ্বাসকষ্ট কেটে যায়।
2️⃣2️⃣এছাড়াও আকন্দ গাছের পাতা ফোঁড়া ফাটাতে সাহায্য করে আকন্দ পাতা দিয়ে ফোঁড়া চেপে বেঁধে রাখলে অতি সহজে ফোঁড়া ফেটে যায়।
2️⃣3️⃣ পাতা একটু গরম করে গেটে বাতে যন্ত্রণাদায়ক এবং স্ফীত প্রলেপ দিলে স্ফীতি কমে যায় এবং বাত ব্যথা যন্ত্রণা সেরে যায়
2️⃣4️⃣ খাঁটি সরিষার তেলে পাতা সিদ্ধ করে সেই তেল অবশ অঙ্গে মালিশ করলে উপকার হয়
2️⃣5️⃣ ৫ থেকে ১০ গ্রেন মাত্রায় আকন্দের শিকড়ের গুড়ো ব্যবস্থা করলে রক্ত আমাশার রোগী ভালো হয়
2️⃣6️⃣ অনেক সময় নবজাত শিশুর মাথা শরীরের তুলনায় অস্বাভাবিকভাবে বড় হয়ে থাকে এরূপ ক্ষেত্রে আকন্দের তুলার বালিশে শোয়ালে আস্তে আস্তে মাথা স্বাভাবিক হয়ে আসে
2️⃣7️⃣ টাটকা শিকড় ধারা দাঁত মাজলে দাঁত শক্ত ও মজবুত হয়