অপরাজিতা বা নিলকন্ঠ
উদ্ভিদের ধরণঃ
এটি একটি লতা জাতীয় গাছ। অনেক লম্বা হয়ে থাকে। এর ফুল দুই রঙ্গের-সাদা এবং নীল হয়ে থাকে। কোনো অবলম্বন পেলে এটি বেড়ে উঠে।
অপরাজিতা বহুবর্ষজীবী প্রায় প্রতিটি জেলাতেই অপরাজিতা গাছ দেখতে পাওয়া যায় ।
চাষাবাদের ধরণঃ
গাছের ডাল বর্ষা কালে সেঁত স্যাঁতে মাটিতে রোপন করতে হয়, ছোট ছোট ধূসর ও কালো বর্ণের বিচি রোদে শুকিয়ে নরম মাটিত রোপন করতে হয়।
সাধারণত বসত বাড়ির শোভা বাড়াতে বাড়ির আঙ্গিনায় এ গাছ রোপন করা হয়।
যে সকল রােগের উপশম হয়ঃ
ব্যবহার্য অংশ ফুল, পাপড়ি, মূল ও গাছের লতা
1️⃣ ঠান্ডা লেগে চোখ দিয়ে পানি পড়তে থাকলে কিংবা চোখে জ্বালা - যন্ত্রণা করলে , নীল অপরাজিতার পাতা বেটে কপালে প্রলেপ দিলে সুফল পাওয়া যায় ।
2️⃣ যেকোন ধরনের বাতে ৫০০ মিলিগ্রাম নীল অপরাজিতার শেকড় পানি দিয়ে বেটে সকালে একবার খেলে সুফল পাওয়া যায় ।
3️⃣ মুত্রকৃচ্ছ রোগে অপরাজিতার মূলের ছাল পানিতে সেদ্ধ করে । দু ' চামচ খেলে পরিমান মত প্রস্রাব হবে ।
4️⃣ শুক্র রােগে এক গ্রাম নীল অপরাজিতার মূল , এক চামচ ঘি , মধু । কিংবা চিনির সঙ্গে খেলে অবশ্যই উপকার পাওয়া যাবে ।
5️⃣ সুখ প্রসবে সহজ প্রসবের জন্য এক গ্রাম সাদা অপরাজিতার শেকড় বেটে খাওয়াতে হবে
6️⃣ কোষ্ঠকাঠিন্যেঃ শ্বেত অথবা নীল অপরাজিতার বীচি গুড়াে করে ২গ্রাম পরিমাণ নিয়ে তাতে সামান্য শুকনাে চুন মিশিয়ে গরম দুধ বা পানি দিয়ে খেতে হবে রাতে খাবার পর ঘুমানাের আগে খাওয়া দরকার ।
7️⃣ মুর্ছা বা হিস্টিরিয়া: আক্রমনের সময় এর মূল গাছ ও পাতা থেঁতে ছেঁকে ১ চা চামচ রস কোনো রকমে খাইয়ে দিলে সেরে যায়।
8️⃣ বয়:সন্ধি কালীন উন্মাদ রোগ: এর মূলের ছাল ৩ থেকে ৬ গ্রাম পরিমাণ নিয়ে শিলে বেটে দিনে ২ বার আতপচাল ধোয়া পানি দিয়ে খেতে হয়। পানির পরিমাণ ১/৪ লিটার । ৭ দিন খেতে হয়।
9️⃣ গলগন্ড রোগ: এর মূল ৫/৬ গ্রাম পরিমাণ ঘি দিয়ে শিলে পিষে অল্প মধু মিশিয়ে সকাল বিকাল ৭ দিন খেলে ভাল হয়ে যায়।
🔟 ফুলা রোগ: পুরাণো ফুলা রোগে নীল অপরাজিতার পাতা মূল সহ বেটে অল্প গরম করে লাগালে ফুলা সেরে যায়। ফুলা বন্ধ হওয়া পয্র্ন্ত সকালে লাগিয়ে যতক্ষণ রাখা যায় রাখতে হবে।
1️⃣1️⃣ ঘন ঘন প্রস্রাব: শিশু অথবা বয়ষ্ক যারা ঘন ঘন প্রস্রাব করে এই ক্ষেত্রে সাদা বা নীল অপরাজিতা গাছের মূল সহ রস করে এক চা চামচ প্রত্যহ ২ বার একটু সামান্ন দুধ মিশিয়ে সকাল বিকাল এক সপ্তাহ্ খেলে উপকার পাওয়া যায়।
1️⃣2️⃣ স্বরভঙ্গ: সমস্ত লতা পাতা দশ গ্রাম পরিমাণ থেঁতলে ৪/৫ কাপ পানিতে সিদ্ধ করে এক কাপ থাকতে নামিয়ে ছেঁকে দিনে ৩/৪ বার ১৫ মিনিট গারগেল করলে সেরে যায়। ৪/৫ দিন করতে হবে।
1️⃣3️⃣ শুষ্ক কাশি: অপরাজিতা মূলের রস ১ চা চামচ আধা কাপ অল্প গরম পানিতে মিশিয়ে নিতে হবে। সেই পানি ১০/১৫ মিনিট মুখেপুরে রেখে ৭ দিন , দিনে ৩বার গারগেল করতে হবে। খাওয়া যাবেনা।
1️⃣4️⃣ আধকপালে ব্যথা: এ রোগে এক টুকরা মূল ও গাছ থেঁতলে তার রসের নস্যি দিনে দু’তিন বার নিলে সেরে যায়। হাতের তালুতে কয়ফোটা নিয়ে নাক দিয়ে টেনে নিতে হয়। এটাই নস্যি। ব্যথা হলে দিতে হবে।
➡️ জরুরী তথ্যঃ
এ গাছের সবকিছুই ঔষধ হিসাবে ব্যবহার হয় । তবে মূল , এবং বীচি বেশি পরিমাণে খেলে শরীরে বিষের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় । কাজেই এর পরিমাণ খুবই সাবধানে প্রয়ােগ করা উচিত । নীল ও সাদা অপরাজিতা একই শ্রেণীর গাছ হলেও নীল অপরাজিতায় উপকারিতা বেশি ।
এটি একটি লতা জাতীয় গাছ। অনেক লম্বা হয়ে থাকে। এর ফুল দুই রঙ্গের-সাদা এবং নীল হয়ে থাকে। কোনো অবলম্বন পেলে এটি বেড়ে উঠে।
অপরাজিতা বহুবর্ষজীবী প্রায় প্রতিটি জেলাতেই অপরাজিতা গাছ দেখতে পাওয়া যায় ।
চাষাবাদের ধরণঃ
গাছের ডাল বর্ষা কালে সেঁত স্যাঁতে মাটিতে রোপন করতে হয়, ছোট ছোট ধূসর ও কালো বর্ণের বিচি রোদে শুকিয়ে নরম মাটিত রোপন করতে হয়।
সাধারণত বসত বাড়ির শোভা বাড়াতে বাড়ির আঙ্গিনায় এ গাছ রোপন করা হয়।
যে সকল রােগের উপশম হয়ঃ
ব্যবহার্য অংশ ফুল, পাপড়ি, মূল ও গাছের লতা
1️⃣ ঠান্ডা লেগে চোখ দিয়ে পানি পড়তে থাকলে কিংবা চোখে জ্বালা - যন্ত্রণা করলে , নীল অপরাজিতার পাতা বেটে কপালে প্রলেপ দিলে সুফল পাওয়া যায় ।
2️⃣ যেকোন ধরনের বাতে ৫০০ মিলিগ্রাম নীল অপরাজিতার শেকড় পানি দিয়ে বেটে সকালে একবার খেলে সুফল পাওয়া যায় ।
3️⃣ মুত্রকৃচ্ছ রোগে অপরাজিতার মূলের ছাল পানিতে সেদ্ধ করে । দু ' চামচ খেলে পরিমান মত প্রস্রাব হবে ।
4️⃣ শুক্র রােগে এক গ্রাম নীল অপরাজিতার মূল , এক চামচ ঘি , মধু । কিংবা চিনির সঙ্গে খেলে অবশ্যই উপকার পাওয়া যাবে ।
5️⃣ সুখ প্রসবে সহজ প্রসবের জন্য এক গ্রাম সাদা অপরাজিতার শেকড় বেটে খাওয়াতে হবে
6️⃣ কোষ্ঠকাঠিন্যেঃ শ্বেত অথবা নীল অপরাজিতার বীচি গুড়াে করে ২গ্রাম পরিমাণ নিয়ে তাতে সামান্য শুকনাে চুন মিশিয়ে গরম দুধ বা পানি দিয়ে খেতে হবে রাতে খাবার পর ঘুমানাের আগে খাওয়া দরকার ।
7️⃣ মুর্ছা বা হিস্টিরিয়া: আক্রমনের সময় এর মূল গাছ ও পাতা থেঁতে ছেঁকে ১ চা চামচ রস কোনো রকমে খাইয়ে দিলে সেরে যায়।
8️⃣ বয়:সন্ধি কালীন উন্মাদ রোগ: এর মূলের ছাল ৩ থেকে ৬ গ্রাম পরিমাণ নিয়ে শিলে বেটে দিনে ২ বার আতপচাল ধোয়া পানি দিয়ে খেতে হয়। পানির পরিমাণ ১/৪ লিটার । ৭ দিন খেতে হয়।
9️⃣ গলগন্ড রোগ: এর মূল ৫/৬ গ্রাম পরিমাণ ঘি দিয়ে শিলে পিষে অল্প মধু মিশিয়ে সকাল বিকাল ৭ দিন খেলে ভাল হয়ে যায়।
🔟 ফুলা রোগ: পুরাণো ফুলা রোগে নীল অপরাজিতার পাতা মূল সহ বেটে অল্প গরম করে লাগালে ফুলা সেরে যায়। ফুলা বন্ধ হওয়া পয্র্ন্ত সকালে লাগিয়ে যতক্ষণ রাখা যায় রাখতে হবে।
1️⃣1️⃣ ঘন ঘন প্রস্রাব: শিশু অথবা বয়ষ্ক যারা ঘন ঘন প্রস্রাব করে এই ক্ষেত্রে সাদা বা নীল অপরাজিতা গাছের মূল সহ রস করে এক চা চামচ প্রত্যহ ২ বার একটু সামান্ন দুধ মিশিয়ে সকাল বিকাল এক সপ্তাহ্ খেলে উপকার পাওয়া যায়।
1️⃣2️⃣ স্বরভঙ্গ: সমস্ত লতা পাতা দশ গ্রাম পরিমাণ থেঁতলে ৪/৫ কাপ পানিতে সিদ্ধ করে এক কাপ থাকতে নামিয়ে ছেঁকে দিনে ৩/৪ বার ১৫ মিনিট গারগেল করলে সেরে যায়। ৪/৫ দিন করতে হবে।
1️⃣3️⃣ শুষ্ক কাশি: অপরাজিতা মূলের রস ১ চা চামচ আধা কাপ অল্প গরম পানিতে মিশিয়ে নিতে হবে। সেই পানি ১০/১৫ মিনিট মুখেপুরে রেখে ৭ দিন , দিনে ৩বার গারগেল করতে হবে। খাওয়া যাবেনা।
1️⃣4️⃣ আধকপালে ব্যথা: এ রোগে এক টুকরা মূল ও গাছ থেঁতলে তার রসের নস্যি দিনে দু’তিন বার নিলে সেরে যায়। হাতের তালুতে কয়ফোটা নিয়ে নাক দিয়ে টেনে নিতে হয়। এটাই নস্যি। ব্যথা হলে দিতে হবে।
➡️ জরুরী তথ্যঃ
এ গাছের সবকিছুই ঔষধ হিসাবে ব্যবহার হয় । তবে মূল , এবং বীচি বেশি পরিমাণে খেলে শরীরে বিষের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় । কাজেই এর পরিমাণ খুবই সাবধানে প্রয়ােগ করা উচিত । নীল ও সাদা অপরাজিতা একই শ্রেণীর গাছ হলেও নীল অপরাজিতায় উপকারিতা বেশি ।